সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন একজন থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যাবে
ঢাকা থেকে মাওয়া পদ্মা সেতুর হয়ে খুলনা ও বেনাপোল সীমান্তে যাবে ট্রেন। দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের একটা স্বপ্ন পূরণ হল কারণ মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ভিতরে ঢাকাতে পৌঁছাতে পারবেন তারা তাও আবার অল্প খরচে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ট্রেনে করে। যেটা ছিল একসময় শুধুমাত্র স্বপ্ন তার বাস্তব রূপ দেখে মানুষ অনেক খুশি ১ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার থেকে প্রথম যাত্রী নিয়ে বানিজিক ভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে। শুরুতে সুন্দরবন এক্সপ্রস ট্রেনটি ঢাকা টু খুলনা ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা টু বেনাপোল যাতায়াত করবে। ট্রেন দুটি এতদিন পর্যন্ত টাংগাইল হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পাড়ি দিয়ে খুলনায় পৌঁছাতে ৪১২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হতো পদ্মা দিয়ে পথের দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার যাত্রার সময় কমবে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতুতে
যমুনা সেতু রুট পরিবর্তন করে প্রথমবারের মতো বেনাপোল এক্সপ্রেস টি ৩০০ যাত্রী নিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন। পদ্মা সেতু হয়ে বেনাপোল টু ঢাকা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাপথ ছিল হবে বেনাপোল – ঝিকরগাছা- যশোর – মোবারকগঞ্জ – কোটচাঁদপুর – দর্শনাহল – চুয়াডাঙ্গা – পুরাদহ জংশন – কুষ্টিয়া – রাজবাড়ি – ফরিদপুর – ভাঙ্গা জংশন স্টেশন তারপর যাত্রাবিরতি পরে ঢাকা কমলাপুর পৌঁছবে বেনাপোল এক্সপ্রেস।
গত বৃহস্পতিবার বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১ টার পরে বেনাপোল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে এই ট্রেনটি বেনাপোল স্টেশন থেকে ৩০০ এবং অন্যান্য স্টেশন থেকে আরো ৫০ জন মোট ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা কর। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ট্রেন ঠিক ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে। এতে করে বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে দূরত্ব ও সময় দুটাই কম লাগবে।
বেনাপোল থেকে ঢাকার এসি চেয়ারের ভাড়া হলো ১১০৪ টাকা আর এসি বাতের ভাড়া ১৬৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়ার ট্রেনটির রাত ৮ঃ৪৫ মিনিটের ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে পরে ট্রেনটি ঢাকা থেকে ১১ঃ৪৫ মিনিটে বেনাপোল এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। এবং পরের দিন সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছাবে যাতায়াতে আগের চেয়ে সময় অনেক কম লাগবে সপ্তাহে বুধবার ছাড়া বাকি ছয় দিন পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করবে চলাচল করবে বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময় লাগবে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা সময়।
পদ্মা সেতুতে চলবে সুন্দরবন এক্সপ্রেস
আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা স্টেশন থেকে রাত ১০:৪৫ টায় ছেড়ে যাবে ঢাকার উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশ রেলের তৈরি করার সময় অনুযায়ী ভোর ৪ টার পরপরই ট্রেনটি পদ্মা সেতু অতিক্রম করবে এবং ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ভোর ৫.১০ মিনিট এবং পরদিন সকাল ৮.১৫ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে আবার খুলনার উদ্দেশ্যে খুলনায় পৌঁছানোর কথা বিকাল পৌনে ৪.০০ টায়, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে খুলনার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে ফরিদপুর শহর হয়ে রাজবাড়ী কুষ্টিয়া পোড়াদহ, চুয়াডাঙ্গা, যশোর সহ ৯ টি স্টেশন এর ট্রেনটি থামবে।
প্রথম এ এই দুটি ট্রেন দিয়া পদ্মা সেতু রেল যোগাযোগ শুরু হলেও খুব দ্রুত আরো দুটি ট্রেন চালু হওয়ার কথা আছে